নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
আজ নাজিরহাট হানাদার দিবস!

আজ নাজিরহাট হানাদার দিবস!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আজ শুক্রবার নাজিরহাট হানাদারমুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর উত্তর চট্টগ্রামের অন্যতম রনাঙ্গন নাজিরহাটে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে টিকতে না পেরে ভোরে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটে।এরপর শুরু হয় মুক্তিগামী ছাত্রজনতা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আনন্দ উল্লাস।

হাটহাজারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আলম জানান, পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটার পর ওই দিন (৯ ডিসেম্বর) ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা এবং ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জোয়ানেরা চাঁদের গাড়ীতে করে কামান এবং অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দেশের মানচিত্র অংকিত পতাকা নিয়ে আনন্দ উল্লাস করে নাজিরহাটে সমবেত হয়। তবে পলাতক পাক হানাদার বাহিনী ওই দিন সন্ধ্যায় হাটহাজারীর অদুদিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে ৩/৪ টি বাসে করে নাজিরহাটে আসে। তারা উল্লাসরত মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ জনতার উপর অর্তকিত হামলা চালায়।

তিনি বলেন, শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ। ওই যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী বাংলার দামাল ছেলেদের কাছে পরাস্ত হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার নায়েক তফাজ্জল হোসেন (বরিশাল), সিপাহী নুরুল হুদা (কুমিল্লা), সিপাহী অলি আহম্মদ (খুলনা), সিপাহী নুরুল ইসলাম (সন্দ্বীপ), সিপাহী মানিক মিয়া (চট্টগ্রাম), ফোরক আহম্মদ (নাজিরহাট), হাসিনা খাতুন (নাজিরহাট), আবদুল মিয়া (নাজিরহাট), নুরুল আবছার (কুমিল্লা), মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক (ফরহাদাবাদ) ও অজ্ঞাত নামা একজন সহ ১১জন শহীদ হন।

তিনি বলেন, এরপর পাক হানাদার বাহিনী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নাজিরহাট, ফটিকছড়ি এবং হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ-লুটতরাজ, নাজিরহাট হালদা নদীর সেতু ধ্বংস, হত্যাযজ্ঞসহ নারকীয় কর্মকান্ড চালায়। পাক বাহিনীর মেশিন গানের গুলিতে শহীদ ১১জনকে নাজিরহাট বাসষ্টেশনে কবর দেয়া হয়। দীর্ঘদিন ১১ জন শহীদের কবর অবহেলিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শহীদের এ কবরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করে। প্রত্যেক বছর নাজিরহাট মুক্ত দিবসে আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো হাটহাজারী ,ফটিকছড়ির মুক্তিযোদ্ধারা শহীদের এ কবরে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তাছাড়া হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনও বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহিদুল আলম বলেন, নাজিরহাট হানাদার মুক্ত দিসব উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন, কোরান খতম,মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com